۳ آذر ۱۴۰۳ |۲۱ جمادی‌الاول ۱۴۴۶ | Nov 23, 2024
ইরানে এবার অস্কারজয়ী সিনেমার অভিনেত্রী গ্রেফতার
ইরানে এবার অস্কারজয়ী সিনেমার অভিনেত্রী গ্রেফতার

হাওজা / চলমান বিক্ষোভে অনেক নারী বিক্ষোভকারী আগুনে তাদের হিজাব পুড়িয়েছে, যা কর্তৃপক্ষের প্রতি প্রকাশ্য অবজ্ঞার একটি স্পষ্ট চিত্র উপস্থাপন করেছে।

মুহাম্মদ শাফাক (১৯-১২-২০২২)

হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, এ খবরের শেষে ইরান বিরোধী পত্রিকা ইত্তেফাক লিখেছে : " তার ( মাহসা আমীনী ) মৃত্যুর পর থেকে দেশটির পোশাক কোড ও হত্যার বিচারের দাবিতে ইরানজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। চলমান বিক্ষোভে অনেক নারী বিক্ষোভকারী আগুনে তাদের হিজাব পুড়িয়েছে, যা কর্তৃপক্ষের প্রতি প্রকাশ্য অবজ্ঞার একটি স্পষ্ট চিত্র উপস্থাপন করেছে। "

এই পত্রিকাটি আবারও অমূলক অবাস্তব মিথ্যা বিশ্লেষণ করে লিখেছে যে মাহসা আমীনীর মৃত্যুর পর থেকে ইসলামী হিজাব ও ড্রেস কোডের বিপক্ষে ও মাহসা আমীনীর হত্যার বিচারের দাবিতে সারা ইরানে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে এবং এ পত্রিকার বাচনভঙ্গিটা এমনই যে যে কেউ এ সংবাদটা পড়বে তার মনে হতে থাকবে যে ইরানে ইসলামী পোশাক কোড ও মাহসা আমীনীর হত্যার বিচারের দাবিতে এখনও গণ বিক্ষোভ চলছে ! আসলে ইরানের যে অল্প কিছু স্থানে ( না সমগ্র ইরান জুড়ে) কথিত বিক্ষোভ

হওয়ার দাবি করা হয়েছে সেগুলো আসলে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ ছিল না বরং বিপথগামী পাশ্চাত্যপন্থী বরং পাশ্চাত্যের এজেন্ট মুষ্টিমেয় অল্প কিছু সংখ্যক ইরানী নারী ও পুরুষ কর্তৃক সৃষ্ট ফিতনা , গোলযোগ ও বিশৃঙ্খলা । আর মাহসা আমীনীকে হত্যা করে নি পুলিশ । বরং অসুস্থতা জনিত কারণে তার মৃত্যু হয়েছে পোস্ট মর্টেম্ ও ময়না তদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী ।

পক্ষান্তরে শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গত বছরে ( ২০২১ সাল ) মার্কিন পুলিশ ৯৯৬ পুরুষ ও ৫৬ জন নারীকে গুলি করে হত্যা করেছে । আর এ বছর (২০২২ সালের ) সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মার্কিন পুলিশ ৬৮২ জন পুরুষ ও এবং ৩২ জন নারীকে গুলি করে হত্যা করেছে । গত ৫ বছরে পুলিশ বাসায় জোর করে ঢুকে ৮৯ জন নিরাপরাধ নারীকে হত্যা করেছে এবং এ পর্যন্ত এ সকল হত্যাকারী পুলিশের মাত্র ২% জনের বিচার হয়েছে!! অর্থাৎ বিচার হয় নি বললেই চলে।

অথচ মার্কিন পুলিশের সহিংসতা , হিংস্রতা , পাশবিকতা ও হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে পশ্চিমা সরকার ও সংবাদ মাধ্যম গুলো কোনো সমালোচনাও করছে না , কোনো কথাও বলছে না এবং মার্কিন পুলিশ কর্তৃক নির্বিচারে নারী হত্যার জন্য মার্কিন জনগণকে ঘাতক মার্কিন পুলিশের বিরুদ্ধে উস্কাচ্ছেও না ।

অথচ ময়না তদন্তের রিপোর্ট ও ফলাফলের তোয়াক্কা না করেই পশ্চিমা সংবাদ মাধ্যম সমূহের অনুসরণে ইত্তেফাক সব সময় বলেই যাচ্ছে যে মাহসা আমীনীকে নাকি ইরানী নীতি পুলিশ হত্যা করেছে !!! পশ্চিমা সংবাদ মাধ্যম ও ইত্তেফাক যদি বলে যে ইরানী সরকারী কর্তৃপক্ষের ময়না তদন্তের রিপোর্ট নির্ভরযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য নয় তাহলে যে কোনো দেশের সরকারী কর্তৃপক্ষ এমনকি পশ্চিমা ও মার্কিন সরকারী কর্তৃপক্ষের ময়না তদন্তের রিপোর্টের ব্যাপারেও ঐ একই কথা ও বক্তব্য প্রযোজ্য হবে অর্থাৎ তখন কোনো দেশের সরকারী কর্তৃপক্ষের ময়না তদন্তের রিপোর্ট সমূহ নির্ভরযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য বলে গণ্য করা যাবে না !!!

পশ্চিমা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষের ময়না তদন্তের রিপোর্ট যে কেবল গ্রহণযোগ্য কিন্তু ইরানী কর্তৃপক্ষের ময়না তদন্তের রিপোর্ট যে গ্রহণযোগ্য নয় তার যৌক্তিকতা কোথা থেকে এ সব পশ্চিমা ও ইত্তেফাকের মতো বশংবদ তল্পীবাহক পত্রিকাগুলো পেল ? এ ব্যাপারে কি আসমানী ওহী অবতীর্ণ হয়েছে ? অথচ পশ্চিমাদের এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিথ্যা চারিতা এবং জঘন্য রক্তপিপাসু হিংস্র স্বার্থান্বেষী চরিত্র কারো অজানা নয় ।

অতএব মার্কিন মুলুকে পুলিশ কর্তৃক নারী নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ডের যে তথ্য উপাত্ত উপরে উল্লেখিত হল তা থেকে স্পষ্ট হয়ে যায় যে নারী , জীবন ও স্বাধীনতা ( ঝান , ঝিয়ান , আযাদী ژَنْ ، ژِیَان ، ئَازَادِيْ ) - এ শ্লোগান ইরানের জন্য নয় বরং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলোর জন্যই সর্বাধিক প্রযোজ্য । মার্কিন মুলুকে যদি বিনা বিচারে পুলিশের হাতে ঘরে ও ঘরের বাইরে নিরাপরাধ নারীরা নিহত হন তাহলে মার্কিন মুলুকেই তো " নারী, জীবন ও স্বাধীনতার " শ্লোগান সবচেয়ে বেশি দেওয়া দরকার ও উচিত , ইরানে নয় । ইরানে নারীরা ইসলামী মর্যাদার ( যা হচ্ছে সঠিক সম্মান ও মর্যাদা তা ) অধিকারী , তাদের জীবন মার্কিন নারীদের জীবনের মতো অনিরাপদ ও বিপন্ন নয় । তাই মার্কিন নারীদের মতো ঠুনকো বাহ্যিক স্বাধীনতা নয় ( যা হচ্ছে কেবল সংক্ষিপ্ত খাটো পোশাক পরে দেহবল্লরী প্রদর্শন ও অবাধ অবৈধ যৌনাচারের স্বাধীনতা অর্থাৎ পণ্য সামগ্রীর মতো নারী দেহের সৌন্দর্য প্রদর্শন করার স্বাধীনতা যা লোভাতুর পর পুরুষদের অবৈধ যৌন সুরসুরি ও সম্ভোগের স্পৃহা ও আকাঙ্ক্ষাই জাগিয়ে তুলে নারীদেরকে কামাতুর পুরুষদের ধর্ষণ , যৌন লালসা , আক্রমণ , নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার করে নারী জীবনকে আরো বেশি নিরাপত্তাহীন ও দুর্দশাগ্রস্ত করে ফেলেছে ) বরং পবিত্র ইসলাম ধর্ম প্রদত্ত ও স্বীকৃত প্রকৃত স্বাধীনতাই প্রাপ্ত হয়েছেন ইরানী নারীরা ইরানে ইসলামী বিপ্লব ও ইসলামী প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে।

যা হোক , আসল বাস্তবতা হচ্ছে যে পশ্চিমাদের বিশেষ করে মার্কিনীদের ইন্ধন ও প্ররোচনায় এ সব গোলযোগ ও ফিতনায় ইরানী জাতির সংখ্যাগরিষ্ঠ বৃহত্তর অংশই অংশগ্রহণ করেন নি । কারণ ইরানের অধিকাংশ নারী স্বেচ্ছায় ইসলামী হিজাব পালন করেন যাদের কথা পাশ্চাত্য এবং তাদের বশংবদ ধামাধরা ইত্তেফাকের মতো পত্রিকাগুলো কখনোই বলবে না ও প্রকাশ করবে না ।

পশ্চিমা সংবাদ মাধ্যম ও পত্রিকা সমূহ সমগ্র ইরান জুড়ে ইসলামী হিজাবের পক্ষে মিলিয়ন মিলিয়ন ইরানী নারী ও পুরুষের মিছিল সমূহের খবরগুলো এ পর্যন্ত প্রকাশ করে নি এবং কোনো দিনও তা তারা করবে না। পশ্চিমারা এবং তাদের ধামাধরা তল্পীবাহকরা ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী মিথ্যা প্রচার প্রোপাগ্যান্ডা চালিয়ে বলেই যাচ্ছে যে ইরানী নারীরা আর নাকি হিজাবের বিধান ও আইন মানতে চাচ্ছেন না । তারা তাদের হিজাব ( ইসলামী শালীন পোশাক ) পুড়িয়ে ফেলছে যা হচ্ছে ইরানী কর্তৃপক্ষের প্রতি তাদের অবজ্ঞা প্রদর্শনের চিত্র ও নিদর্শন । আবারো বলতে হয় মুষ্টিমেয় গুটিকতক বিপথগামী পাশ্চাত্যপন্থী অসভ্য বেহায়া নির্লজ্জ নারী যারা হিজাব পুড়িয়েছে পাশ্চাত্যের ইন্ধনে ও প্ররোচনায় তারা কিভাবে সমগ্র ইরানী নারী সমাজের প্রতিনিধি হল ?

অথচ ইরানে স্বেচ্ছায় হিজাব পালনকারী কোটি কোটি নারী বিদ্যমান যারা ইরানী নারী সমাজের সংখ্যাগরিষ্ঠ বৃহত্তর অংশ এবং তারা এই হিজাব অবমাননার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে বহু বিশাল বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ করেছে সমগ্র ইরান জুড়ে একবার দুবার নয় বরং বহু বার এ দুই তিন মাসে । কৈ তাদের কথা তো হিজাব ও ইসলাম বিরোধী পশ্চিমা সংবাদ ও সামাজিক ( অসামাজিক বলাই উত্তম ) যোগাযোগ মাধ্যম সমূহ এবং তাদের তল্পিবাহক ধামাধরা পাশ্চাত্য পন্থী ইত্তেফাক পত্রিকার মতো পত্রিকাগুলো কি প্রকাশ করেছে ও করবে ? যারা ইরানে থাকেন তাদের কাছে ইরানের প্রকৃত অবস্থা দিব্য পরিষ্কার।

আসলে ইরানকে আন্তর্জাতিক ভাবে এক ঘরে করে ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা আরোপের উদ্দেশ্যেই পশ্চিমা সংবাদ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সমূহ ইরান বিরোধী এ ধরনের মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে এবং ইত্তেফাকের মতো পাশ্চাত্য পন্থী পত্রিকাগুলো দেশে দেশে পশ্চিমাদের ইরান বিরোধী মিথ্যা প্রচারণা ও খবরগুলো অবলীলায় কোনো ধরণের পরীক্ষা ও যাচাই-বাছাই করা ছাড়াই প্রচার করছে যাতে জাতি সমূহের কাছে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় এবং ইরান যেন বিশ্ববাসীর সমর্থন ও সহানুভূতি হারায় । ব্যস তখন এই সুযোগে পশ্চিমারা বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার চেলা চামুন্ডারা ইরানের বিরুদ্ধে নানা ধরণের ষড়যন্ত্র এঁটে দেশটির ভয়ানক ক্ষতি সাধনে সক্ষম হবে !!!

আর এখানে প্রসঙ্গত : উল্লেখ্য যে ১৯৭৯ সালে ইরানের ইসলামী বিপ্লব বিজয়ের পর থেকে ইত্তেফাক পত্রিকাটি গত ৪৩ বছর ধরে ইসলামী বিপ্লব ও ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়েই যাচ্ছে। ইত্তেফাকের " স্থান - কাল - পাত্র " - এর লেখক লুব্ধক ইরানের বিরুদ্ধে কত যে উদ্ভট , মিথ্যা , ভিত্তিহীন , অমূলক ও অবাস্তব বিষয় ও কথা লিখেছে যেগুলোর মিথ্যা, অমূলক , অবাস্তব ও ভিত্তিহীন হওয়ার বিষয় আজ ঐতিহাসিক ও সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত ও সুপ্রতিষ্ঠিত ! আসলে ইসলামী বিপ্লব ও ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে গিয়ে লুব্ধক তার নিজের ও ইত্তেফাক পত্রিকাটিরই ভাবমূর্তি নষ্ট এবং নিজের মুখ ও এ পত্রিকাটির ওপরই কালিমা লেপন করেছে। এ সব মিথ্যা ও উদ্ভট কল্প কাহিনী প্রচারের জন্য পশ্চিমা সংবাদ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সমূহ এবং ইত্তেফাক ও জনাব লুব্ধকের মতো অপশ্চিমা তল্পিবাহক গং হচ্ছে " ইয়া আইয়ুহাল্লাযীনা আমানূ ইন জাআকুম ফাসিক্বুন বিনাবাইন্ ফাতাবাইয়ানূ আন তুসীবূ ক্বওমান বিজাহালাতিন্ ফাতুসবিহূ আলা মা ফা'আল্তুম্ নাদিমীন্

یَا أَیُّهَا الَّذِیْنَ آمَنُوْا إِنْ جَاءَکُمْ فَاسِقٌ بِنَبَإٍ فَتَبَیَّنُوْا أَنْ تُصِیْبُوْا قَوْمًا بِجَهَالَةٍ فَتُصْبِحُوْا عَلَیٰ مَا فَعَلْتُمْ نَادِمِیْنَ.

[হে মুমিনগণ ! যদি তোমাদের কাছে কোনো ফাসিক ( দুর্নীতি পরায়ণ, মিথ্যা বাদী অসৎ অসাধু পাপাচারী ব্যক্তি ) কোনো খবর নিয়ে আসে তবে সেটার সত্যতা যাচাই বাছাই ( তাবাইয়ুন ) করে দেখবে তোমরা যাতে অজ্ঞতা বশত : কোনো সম্প্রদায়কে (তোমরা ) ক্ষতিগ্রস্ত না কর এবং পরে তোমাদের কৃতকর্মের জন্য তোমরা অনুতপ্ত না হও । ] " ------ পবিত্র কুরআনের সূরা হুজুরাতের ৬ নং আয়াতের ফাসিক্বের ( পাপাচারী ) সত্যিকার বাস্তব নমুনা যা বলার আর অপেক্ষা রাখে না। তাই পাঠক বর্গের উচিত ইরান বা যে কোনো দেশ , জাতি ও সম্প্রদায়ের ব্যাপারে ফাসিক্ব ( পাপাচারী দুর্নীতি পরায়ন ) পশ্চিমা সংবাদ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং ইত্তেফাকের মতো তাদের বশংবদ তল্পীবাহক মিডিয়ার পরিবেশিত খবর ও প্রতিবেদন সমূহের সত্যতা পরীক্ষা ও যাচাই বাছাই করা যাতে তারা কোনো দেশ , জাতি ও সম্প্রদায়কে (যেমন : ইরান ) অন্যায়ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না করে এবং পরে এ কাজের জন্য যেন তাদের অনুতপ্ত হতে ও পস্তাতে না হয় !!!

পবিত্র কুরআনের এ বিধান ও শিক্ষা সম্পূর্ণ ন্যায় ও যৌক্তিক এবং সকল মু'মিন - মুসলমান ও বিবেকবান ব্যক্তির জন্য তা শির ধার্য ( ফরয )। আর ভুল , অন্যায় , পাপ ও অপরাধ করলে সে যেই হোক না কেন এমনকি সে অস্কার বিজয়ী অভিনেতা বা অভিনেত্রী হলেও তাকে বিচারের কাঠগড়ায় অবশ্যই দাঁড়াতে হবে । হয়তো অনেকেই অন্যায় ও পাপ করে এ দুনিয়ায় পার পেয়ে গেলেও পরকালে মহান স্রষ্টার আদালতে অবশ্যই তারা কখনো পার পাবে না !!

تبصرہ ارسال

You are replying to: .